নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষনার পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন সভা ও সমাবেশে এ কমিটি অবৈধ ঘোষনা দিয়ে আসছে আওয়ামীলীগের একটি অংশ। সেই অবৈধ আওয়ামীলীগের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন অবৈধ ঘোষনাকারীরাদের একটি বড় অংশ।
আজ সোমবার নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর হাই ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল পূর্বে ঘোষিত আহবায়ক কমিটিকে পূর্নবিন্যাস করে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতকে যুগ্ন-আহবায়ক করে কায়সার হাসনাত পন্থী আরো কয়েকজন নেতাকে সদস্য করে নতুন একটি ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির একটি চিঠি স্বাক্ষর করে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসের শেষের দিকে এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়াকে আহবায়ক ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুমকে যুগ্ন-আহবায়ক করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করেন নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল। সেই কমিটি ঘোষনার পর সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশ তার বিরোধীতা করে আসছিলেন। সেই কমিটি ঘোষনার পর দীর্ঘদিনে মনোমালিন্য ভুলে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত, উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, মাহফুজুর রহমান কালাম, এএইচএম মাসুদ দুলাল একমঞ্চে উঠে জেলা কমিটির ঘোষিত আহবায়ক কমিটিকে অবৈধ ঘোষনা করে তাদের প্রতিহত করার জন্য যেখানে যাবে সেখানে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার ঘোষনা দেন। এর পরিপেক্ষিতে জেলা কমিটির ঘোষিত আহবায়ক কমিটি জামপুর উটমা পাইমারী স্কুলে আহবায়ক কমিটির সম্মেলন দিলে কায়সার-কালামের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করে জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লাঞ্চিত করে। পরে আহবায়ক কমিটি উটমা স্কুলে সম্মেলন করতে না পেরে পুলিশের পাহারায় আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা. আবু জাফর চৌধূরী বিরুর বাড়িতে বসে সম্মেলন করে। এরপর থেকে কায়সার কালাম সব সময় সকল সমাবেশে আহবায়ক কমিটিকে অবৈধ ঘোষনা করে আসছিল। তবে, সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সামসুল ইসলাম ভুইয়াকে আহবায়ক রেখে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত ও ইঞ্চিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে যুগ্ন-আহবায়ক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নুতন একটি কমিটি ঘোষনা করে। সেই কমিটি অন্য সদস্যরা হলেন, অন্য সদস্যরা হলো ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন, এস এম জাহাঙ্গীর আলম, শামসুদ্দীন খাঁন আবু, বাবুল ওমর, আরিফ মাসুদ বাবু, মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, আশরাফুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম নান্নু, মোহাম্মদ আলী হায়দার, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, মোঃ জহিরুল হক, মোঃ মাহবুব হোসেন সরকার, এডভোকেট আবু তাহের ফজলে রাব্বি, এডভোকেট ইকবাল হোসেন, লায়ন মোঃ মাহাবুর রহমান বাবুল, মোঃ মাহাবুর রহমান লিটন ও গাজী মজিবুর।